প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে চলা বিক্ষোভের মুখে শনিবার নিজের সরকারি বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে।'
/ গোতাবায়া রাজাপাকসে /
-এরআগে, শনিবার বড় বিক্ষোভ করার ঘোষণা দেন সরকারবিরোধীরা। তারা মিছিল নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে যাওয়ার কথা জানান। অন্যদিকে এই বিক্ষোভ দমাতে এবং পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার কলম্বো ও কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলার ঘোষণা দেয় পুলিশ। এ সময় সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানায় নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এ কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েন।
'কারফিউ জারির পর প্রেসিডেন্ট ভবনসহ কলম্বোর বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। টহল দেয় সশস্ত্র সেনা। শুক্রবার বিকেলে প্রায় ২০ হাজার সেনা–পুলিশ মোতায়েন করা হয়।'
/ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পলিশের টিয়ারসেল নিক্ষেপ / ছবি- রয়টার্স
'শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দীর্ঘদিন ধরে ঋণ করে চলতে হচ্ছে দেশটিকে। এর মধ্যে কলম্বো বেশিরভাগই ঋণ পেয়েছে চীনের কাছ থেকে। ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বহুদিন আগে থেকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বেইজিং, যাকে ঋণ-ফাঁদ বলে সমালোচনা করে আসছে পশ্চিমারা।
বিক্ষোভের মুখে নিজের বাসভবন ছেড়ে পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে
তবে কলম্বোর সংকট গভীর হতে থাকায় মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে চীন। চীনা ও আন্তর্জাতিক ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা একদিকে বকেয়া পরিশোধ করতে পারছে না, অন্যদিকে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ।'
/ প্রেসিডেন্ট প্যালেসে বিক্ষোভ / ছবি- রয়টার্স
'ইতিহাসের ভয়াবহতম অর্থনৈতিক সংকটে শ্রীলঙ্কা ‘দেউলিয়া’ হয়ে গেছে বলে গত বৃহস্পতিবারই মন্তব্য করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। মারাত্মক আর্থিক সংকেট পড়া শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক রিজার্ভ বলে আর কিছু নেই। তাই দেশটি খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির মত অতি জরুরি আমদানি প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি সেবার জন্যও জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে না।'